বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
এস এল টি তুহিন: আসন্ন রমজানে বরিশালে ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পন্য পাবে ২ লাখ ৩০ হাজার পরিবার। যারা নিম্ন ও মধ্য বিত্ত এবং যে সব পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নগদ আড়াই হাজার টাকার প্রনোদনা পেয়েছেন এবং যারা সরকারের ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ডধারী রয়েছেন তারা। আগামী ১৫ মার্চ থেকে বরিশালে শুরু হচ্ছে টিসিবির পন্য বিক্রি কার্যক্রম। যা চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের যখন চরম উর্ধ্বগতি। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্য মূল্য নিয়ে যখন নিম্ন ও মধ্য বিত্ত পরিবারগুলোর কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। ঠিক সেই মূহুর্তে এসব পরিবারের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর দিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, আসন্ন রমজান মাসে নগরী ও জেলা মিলিয়ে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার নিন্ম ও মধ্য বিত্ত মানুষকে টিসিবির পন্য প্রদান করা হবে। যারা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আড়াই হাজার টাকা প্রনোদনা পেয়েছেন এবং ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ডধারী রয়েছেন তারা এই পন্য পাবেন। তবে এ পন্য বাড়িতে পৌছে দেয়া হবে না টিসিবির ট্রাক থেকে কার্ড দেখিয়ে পন্য কিনতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আশা করছি পুরো রোজার মাসে দুই বার পন্য নিতে পারবে এসব পরিবার। তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে শুধু বরিশালে প্রধানমন্ত্রী এই সুবিধা প্রদান করেছেন। যারা নগদ আড়াই হাজার টাকা পেয়েছে তাদেরকে পন্য নেবার জন্য কার্ড দেয়া হবে।
টিসিবি সুত্র জানিয়েছে, এক জন ক্রেতা প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকা করে সর্বোচ্চ ২ কেজি কিনতে পারবে। পাশাপাশি প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা করে সর্বোচ্চ ২ কেজি কিনতে পারবে। ১১০ টাকা লিটার দরে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল কেনা যাবে। আর ৩০ টাকা কেজি দরে এক জন ক্রেতা ২ থেকে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারবে।
টিসিবি সূত্র জানায়, এবার রমজানে বিপুল পরিমাণে তেল, চিনি, মসুর ডাল, পেঁয়াজ ও খেজুর বিক্রি করা হবে। কারণ বাজারে পণ্যের দাম অনেক বাড়তি। তাই রোজায় দাম স্থিতিশীল রাখতে এবার বিশেষ ভাবে আয়োজন করা হয়েছে।
টিসিবি বলছে, অষ্টম দফায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিসিবি পণ্য বিক্রি করেছে। রোজায় এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুর পৌঁছে দেওয়া হবে। আর প্রথম রমজান থেকে বিক্রি করা হবে ছোলা।
ইউনিয়ন পর্যায়েও এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, রমজান উপলক্ষ্যে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য পণ্য পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য দুই দফায় পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রথম দফায় ৬ মার্চ থেকে তেল, চিনি, পেঁয়াজ ও ডাল বিক্রি শুরু করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় প্রথম রমজান থেকে ছোলা বিক্রি শুরু করব। আর এই বিক্রি কার্যক্রম ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে এক কোটি পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যে ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা করা হয়েছে, সেখান থেকে ৩০ লাখ পরিবারকে বাছাই করা হয়েছে। বাকি ৭০ লাখ পরিবারের তালিকা জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশন প্রস্তুত করছে। সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে-রমজান মাসজুড়ে অসহায় দরিদ্র মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়া। যাতে তারা স্বস্তিতে রমজান ও ঈদ উদযাপন করতে পারেন। এক কোটি পরিবারকে পণ্য দিতে পারলে দেশের অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবে।